সান সিরোতে এক অবিস্মরণীয় রাত, চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসে অন্যতম রোমাঞ্চকর সেমিফাইনালে ইন্টার মিলান ৪-৩ গোলে হারিয়েছে বার্সেলোনাকে (অ্যাগ্রিগেট ৭-৬)। অতিরিক্ত সময়ের নাটকীয় ম্যাচে শেষ মুহূর্তে ডেভিড ফ্রাত্তেসির জয়সূচক গোলে ফাইনালের টিকিট পেয়েছে সিমোন ইনজাঘির দল ইন্টার মিলান।
ম্যাচের মোড় ঘোরানো মুহূর্তগুলো
- প্রথমার্ধে ইন্টার মিলানের ডাবল স্ট্রাইক: লাউতারো মার্টিনেজ (২১’) ও হাকান চালহানোগলুর পেনাল্টি (৪২’) দিয়ে ২-০ ব্যবধান তৈরি করে স্বাগতিকরা।
- বার্সার জোরালো ফিরতি: এরিক গার্সিয়া (৫৪’), দানি অলমো (৬০’) ও রাফিনিয়ার (৮৩’) গোলে ৩-২ তুলে নেয় কাতালানরা।
- ৯০+২ মিনিটে অ্যাকারবির জাদু: যোগ করা সময়ে ফ্রান্সিসকো অ্যাকারবির গোলে সমতা আনে ইন্টার মিলান (৩-৩)।
- ৯৯ মিনিটে ফ্রাত্তেসির হিরোইক্স: অতিরিক্ত সময়ে ডেভিড ফ্রাত্তেসির নির্ণায়ক গোলে চূড়ান্ত স্কোর ৪-৩।
ইন্টার মিলান ৪-৩ বার্সেলোনা
ইন্টার মিলান গোলরক্ষক ইয়ান সোমার ম্যাচজুড়ে অসাধারণ পারফরম্যান্স দেখান। লামিনে ইয়ামাল ও রবার্ট লেভানডোস্কির একের পর এক শট ঠেকিয়ে তার দলকে ফাইনালে পৌঁছে দেন সুইস কিপার।
ম্যাচের শুরুতে বার্সেলোনা বলের নিয়ন্ত্রণে এগিয়ে থাকলেও, ২১ মিনিটে লাউতারো মার্টিনেজের গোলে এগিয়ে যায় ইন্টার মিলান। এরপর ৪২ মিনিটে লাউতারোর ওপর ফাউল করে পেনাল্টি উপহার দেন কুবারসি, যা থেকে হাকান কালানগ্লু ব্যবধান দ্বিগুণ করেন। প্রথমার্ধ শেষ হয় ইন্টার মিলান ২-০ লিডে।
দ্বিতীয়ার্ধে বার্সা ঝড় তোলে ৫৪ মিনিটে এরিক গার্সিয়া ও ৬০ মিনিটে দানি অলমোর গোলে সমতা ফেরায়। এরপর ৮৮ মিনিটে রাফিনিয়ার গোলে ৩-২ লিড নেয় তারা। কিন্তু ইনজুরি টাইমের দ্বিতীয় মিনিটে অ্যাকারবির গোলে সমতায় ফেরে ইন্টার মিলান।
অতিরিক্ত সময়ের ৯৯ মিনিটে ম্যাচের নির্ধারক মুহূর্ত ফ্রাত্তেসির নিখুঁত ফিনিশে এগিয়ে যায় ইন্টার মিলান। শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত চেষ্টা চালিয়েও লেভানডফস্কি-ইয়ামালদের থামিয়ে দেন ইন্টার মিলান গোলরক্ষক ইয়ান সোমার। তার দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে তিনি হন ম্যাচসেরা।
১ জুন চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে পিএসজি বা আর্সেনালের মুখোমুখি হবে ইন্টার মিলান। ২০১০-এর পর তাদের দ্বিতীয় চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনাল। অন্যদিকে, ২০১৫-এর পর ফাইনালে উঠতে ব্যর্থ হলো বার্সেলোনা। লাউতারো মার্টিনেজ (গোল ও অ্যাসিস্ট), ফ্রাত্তেসি (ম্যাচ উইনার) এবং লামিনে ইয়ামাল (অসাধারণ ড্রিবলিং), রাফিনিয়া (গোল)।
এই জয়ে ইন্টার মিলান তাদের ইউরোপীয় সাফল্যের ধারা অব্যাহত রেখেছে, বার্সেলোনাকে ফেরাতে হয়েছে হতাশা নিয়ে।
