কনকাকাফ চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনাল থেকে বিদায়ের ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে পারেনি ইন্টার মায়ামি। মেজর লিগ সকারে (এমএলএস) মিনেসোটা ইউনাইটেডের কাছে ৪-১ গোলে রীতিমতো ধুলিস্মাৎ হয়ে তারা নিজেদের সংকট আরও গভীর করেছে। লিওনেল মেসির গোলও থামাতে পারেনি দলের এই অবনমন।
ম্যাচের হাইলাইটস
- ৩২ মিনিট: বঙ্গকুহলে লঙওয়ানের গোলে এগিয়ে যায় মিনেসোটা
- ৪৫+২ মিনিট: অ্যান্থনি মার্কানিচের গোলে ব্যবধান দ্বিগুণ
- ৪৮ মিনিট: মেসি গোল করে আশার আলো দেখান
- ৬৮ মিনিট: মার্সেলো উইগান্ডটের অসুখী স্বগোল
- ৭০ মিনিট: রবিন লোডের গোলে চূড়ান্ত স্কোর ৪-১
মিনেসোটার মাঠ অ্যালিয়াঞ্জ ফিল্ডে ম্যাচে ৭৪ শতাংশ বল দখলে রেখেছিল ইন্টার মায়ামি, কিন্তু ফিনিশিংয়ে ছিল মারাত্মক ঘাটতি। লুইস সুয়ারেজ ছিলেন না ব্যক্তিগত কারণে, আর আক্রমণভাগে তার অনুপস্থিতি স্পষ্টভাবে চোখে পড়ে। বল দখলে আধিপত্য থাকলেও মায়ামির খেলা ছিল ছন্দহীন।
৩২ মিনিটে মিনেসোটার হয়ে প্রথম গোল করেন বঙ্গকুহলে লঙওয়ানে। অতিরিক্ত সময়ে অ্যান্থনি মার্কানিচ ব্যবধান দ্বিগুণ করেন। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে লিওনেল মেসির ব্যবধান ২-১ করলেও, ৬৮ মিনিটে মার্সেলো উইগান্ডট আত্মঘাতী গোল করে পিছিয়ে দেয় দলকে। এরপরই রবিন লোড চতুর্থ গোল করে ইন্টার মায়ামির হারের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেন।
বিরতির পর কোচ মাশ্চেরানো চারটি পরিবর্তন আনলেও, তাতেও দলের ভাগ্য বদলায়নি। এটি ছিল ইন্টার মায়ামির জন্য অত্যন্ত উদ্বেগজনক পারফরম্যান্স। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে গত পাঁচ ম্যাচের মধ্যে তারা হেরেছে চারটিতে। পাশাপাশি, মেসির যোগদানের পর এটি তাদের সবচেয়ে বড় ব্যবধানে হার।
এই হারের ফলে ইন্টার মায়ামি এমএলএস ইস্টার্ন কনফারেন্সের পয়েন্ট তালিকায় নেমে গেছে চতুর্থ স্থানে। ১১ ম্যাচে ৬ জয়ে তাদের পয়েন্ট ২১। একটি করে ম্যাচ বেশি খেলে শীর্ষে রয়েছে যথাক্রমে এফসি সিনসিনাটে (২৫), কলম্বাস ক্রু (২৫) ও ফিলাডেলফিয়া ইউনিয়ন (২৩)।
