আজকের এই নিবন্ধে আমরা আলোচনা করবো সর্বকালের শীর্ষ ৫ বাংলাদেশি বোলার যাঁরা T20Iতে সর্বোচ্চ উইকেট নিয়েছে । বাংলাদেশের ক্রিকেট দল আন্তর্জাতিক মঞ্চে অনেক উন্নতি করেছে এবং টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বাংলাদেশের বোলাররা তাদের প্রতিভা ও দক্ষতার মাধ্যমে বিশ্বমঞ্চে সমাদৃত হয়েছে। এই নিবন্ধে আমরা বাংলাদেশের শীর্ষ ৫ টি-টোয়েন্টি বোলারদের নিয়ে আলোচনা করবো, যাঁরা সবচেয়ে বেশি উইকেট নিয়েছেন। তাঁদের অসাধারণ পারফরম্যান্স এবং বোলিং স্ট্রাটেজি বাংলাদেশের ক্রিকেটকে এক নতুন উচ্চতায় পৌঁছাতে সাহায্য করেছে।
৫. মাহেদি হাসান: নতুন প্রজন্মের প্রতিভা

মাহেদি হাসান বাংলাদেশের একটি নতুন প্রজন্মের বোলার, যিনি ২০১৮ সাল থেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করছেন। ৫৪টি ম্যাচে তিনি ৪৬টি উইকেট নিয়েছেন এবং তার বোলিং গড় ২৫.৬০। মাহেদি হাসান তার সুনির্দিষ্ট বোলিংয়ের জন্য পরিচিত। তিনি একটি অত্যন্ত নিয়মিত বোলার, যিনি ম্যাচে ধারাবাহিকভাবে উইকেট তুলে নিতে সক্ষম। তার সর্বোচ্চ বোলিং পরিসংখ্যান ছিল ৪/১৩, যা বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে একটি অসাধারণ কীর্তি। মাহেদি তার বোলিং দক্ষতা দিয়ে দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সময়ে উইকেট সংগ্রহ করতে পারেন, যা তাকে বাংলাদেশের শীর্ষ ৫ টি-টোয়েন্টি বোলারের মধ্যে স্থান দিয়েছে।
Player | Span | Match | Wickets | BBI | Economy |
M Hasan | 2018-24 | 54 | 46 | 4/13 | 6.53 |
৪. শরিফুল ইসলাম: তরুণ পেস বোলিং প্রতিভা

শরিফুল ইসলাম, বাংলাদেশের তরুণ পেস বোলার, ২০২১ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক করেন। মাত্র ৪২টি ম্যাচ খেলে তিনি ৪৬টি উইকেট নিয়েছেন, এবং তার বোলিং গড় ২৪.৬০। শরিফুলের বোলিং স্ট্রাইক রেট (১৮.১০) এবং তার এক্সপ্রেস বোলিং ধারাবাহিকতা তাকে এক নতুন দিক দিয়েছে। তার সর্বোচ্চ বোলিং পরিসংখ্যান ৩/২১, যা তার ক্ষমতাকে আরো একধাপ এগিয়ে নিয়েছে। শরিফুল ইসলাম ভবিষ্যতে বাংলাদেশের পেস আক্রমণের মূল অস্ত্র হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হবেন।
Player | Span | Match | Wickets | BBI | Economy |
S Islam | 2021-24 | 42 | 46 | 3/21 | 8.15 |
Also Read: শীর্ষ ৫ সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাংলাদেশি ক্রিকেটার
৩. তাসকিন আহমেদ: অভিজ্ঞতা এবং ধারাবাহিকতা

তাসকিন আহমেদ, বাংলাদেশের অন্যতম অভিজ্ঞ পেস বোলার, ২০১৪ সাল থেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলছেন। ৭৩টি ম্যাচে ৮২টি উইকেট নিয়ে তিনি দলের অন্যতম অভিজ্ঞ পেস বোলার হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তার বোলিং গড় ২৩.২৮ এবং স্ট্রাইক রেট ১৮.৫৮, যা তাকে দলের জন্য অত্যন্ত মূল্যবান বোলার হিসেবে দাঁড় করায়। তাসকিনের সবচেয়ে বড় শক্তি হল তার গতি এবং সুইং, যা তাকে যে কোনো উইকেটে সফল হতে সহায়ক করেছে। তার সর্বোচ্চ বোলিং পরিসংখ্যান ছিল ৪/১৬, যা বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে একটি মাইলফলক।
Player | Span | Match | Wickets | BBI | Economy |
T Ahmed | 2014-24 | 73 | 82 | 4/16 | 7.51 |
২. মুস্তাফিজুর রহমান: ফিজি কাটারের জাদু

মুস্তাফিজুর রহমান, বাংলাদেশের সবচেয়ে বিখ্যাত এবং সফল পেস বোলারদের একজন, ২০১৫ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক করেন। ১০৬টি ম্যাচে তিনি ১৩২টি উইকেট নিয়েছেন এবং তার বোলিং গড় ২১.৬২। মুস্তাফিজ তার “কাটার” বোলিংয়ের জন্য বিশেষভাবে পরিচিত, যা তাকে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে অসাধারণ সফল করেছে। তার সেরা বোলিং পরিসংখ্যান ছিল ৬/১০, যা বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে অন্যতম সেরা পরিসংখ্যান। মুস্তাফিজের কাটার এবং ডেথ ওভারে বোলিংয়ের ক্ষমতা তাকে বিশ্বের শীর্ষ বোলারদের মধ্যে রেখেছে। তার দক্ষতা এবং ম্যাচ পরিস্থিতি বুঝে বোলিংয়ের ক্ষমতা তাকে বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বোলার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
Player | Span | Match | Wickets | BBI | Economy |
M Rahman | 2015-24 | 106 | 132 | 6/10 | 7.51 |
Also Read: শীর্ষ ৫ ইতিহাসের পাকিস্তানের সর্বশ্রেষ্ঠ বোলার
১. সাকিব আল হাসান: অলরাউন্ডার এবং বোলিং স্ট্র্যাটেজিস্ট

বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের সর্বশ্রেষ্ঠ অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান, ২০০৬ সাল থেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করছেন। ১২৯টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে তিনি ১৪৯টি উইকেট নিয়েছেন, যার বোলিং গড় ২০.৯১ এবং স্ট্রাইক রেট ১৮.৪২। সাকিব তার সুনির্দিষ্ট স্পিন বোলিংয়ের জন্য পরিচিত, এবং তার বোলিং পরিসংখ্যান দুর্দান্ত। তার সর্বোচ্চ বোলিং পরিসংখ্যান ছিল ৫/২০, যা তাকে বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ইতিহাসে সেরা স্পিনার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। সাকিব আল হাসান শুধু একজন স্পিন বোলারই নন, তিনি বাংলাদেশের জন্য একটি অলরাউন্ডারের আদর্শ, যিনি ব্যাটিং, বোলিং এবং অধিনায়কত্বে সব দিকেই অবদান রাখেন।
Player | Span | Match | Wickets | BBI | Economy |
S Al Haasan | 2026-24 | 129 | 149 | 5/20 | 6.81 |