আরও একটি স্মরণীয় ফাইনাল। ৪০ বছর বয়সেও নিজেকে প্রমাণ করলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। ম্যাচে তাঁর করা একটি গুরুত্বপূর্ণ গোলই মূলত পর্তুগালকে টিকিয়ে রাখে। এরপর রুদ্ধশ্বাস টাইব্রেকারে স্পেনকে হারিয়ে উয়েফা নেশন্স লিগের শিরোপা ঘরে তোলে পর্তুগাল।
৯০ মিনিটের খেলা শেষ হওয়ার পর গড়ায় অতিরিক্ত ৩০ মিনিটে। ১২০ মিনিট শেষে দুই দলই ছিল ২-২ সমতায়। চ্যাম্পিয়ন নির্ধারণে খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে, যেখানে নিয়ন্ত্রণ নেয় পর্তুগাল।
৮৮তম মিনিটে ক্লান্ত রোনালদোকে তুলে নেন কোচ। টাইব্রেকারে তাঁর শট নেওয়ার দরকার হয়নি। তবে ডাগআউটে বসে থাকা রোনালদোর দিকেই ছিল সব ক্যামেরার নজর সম্ভবত এটাই তাঁর শেষ আন্তর্জাতিক ফাইনাল।
চ্যাম্পিয়নস পর্তুগাল

টাইব্রেকারের শুরুতেই পর্তুগাল নেয় প্রথম শট। তখন দেখা যায়, ক্রিশ্চিয়ানো প্রার্থনার ভঙ্গিতে হাত তুলে কিছু বলছেন। তাঁর সেই দোয়া বিফলে যায়নি। পর্তুগাল টাইব্রেকারে ৩-২ ব্যবধানে জিতে নেয় ম্যাচটি। পঞ্চম ও শেষ শটে রুবেন নেভেস গোল করতেই পর্তুগালের জয় নিশ্চিত হয়, আর রোনালদোর চোখে ঝরে পড়ে আনন্দাশ্রু।
এটা ছিল না হারের কান্না, বরং আনন্দ আর তৃপ্তির অশ্রু। ম্যাচ শেষে তিনি বলেন, “আমি ক্লাবের হয়ে অনেক শিরোপা জিতেছি, কিন্তু দেশের হয়ে জয় পাওয়ার অনুভূতি সবচেয়ে আলাদা। এই কান্না আনন্দের এই মিশন ছিল সফল।”