মাত্র পাঁচ মাসের জন্য সান্তোসে ফিরে এসেছিলেন নেইমার। রবিবার রাতে ব্রাজিলিয়ান ক্লাবটির জার্সিতে খেললেন হয়তো শেষ ম্যাচ। কিন্তু সেই শেষ ম্যাচে ঘটে গেল এক অপ্রত্যাশিত ঘটনা হাত দিয়ে গোল করার চেষ্টা করে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়লেন এই ব্রাজিলিয়ান তারকা।
ব্রাজিলিয়ান সিরি-আ লিগে বোটাফোগোর বিপক্ষে ম্যাচের তখন ১৫ মিনিট বাকি। ম্যাচ তখনও ছিল গোলশূন্য। এমন সময় প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারের মাথার ওপর দিয়ে আসা বলে আচমকা হাত লাগিয়ে জালে ঠেলে দেন নেইমার। সঙ্গে সঙ্গে রেফারির নজরে পড়ে ঘটনাটি। দ্বিতীয়বার হলুদ কার্ড দেখিয়ে নেইমারকে লাল কার্ড দেখান রেফারি। এর আগে প্রথমার্ধে ফাউলের জন্য একটি হলুদ কার্ড দেখেছিলেন তিনি।
এই বিতর্কিত ঘটনায় ইউরোপিয়ান মিডিয়াগুলো মজা করে টেনে এনেছে দিয়েগো ম্যারাডোনার সেই বিখ্যাত ‘হ্যান্ড অব গড’-এর প্রসঙ্গ। এবার তারা বলছে, “হ্যান্ড অব নেইমার”। তবে নেইমারের এই লাল কার্ডের ঘটনা তার ভক্তদের জন্য মোটেও হাস্যকর কিছু নয়।
নেইমারের এই ঘটনা মাঠেই প্রভাব ফেলেছে। তার লাল কার্ড দেখার ঠিক চার মিনিট পরই গোল করে জয় তুলে নেয় বোটাফোগো। ১-০ গোলের হারে বিদায় নেয় সান্তোস।
ম্যাচ শেষে সমর্থকদের উদ্দেশে ক্ষমা চেয়ে নেইমার বলেন, “আমি ভুল করেছি। আমি জানি, এই ভুলের কারণে দল পয়েন্ট হারিয়েছে। ভক্তদের কাছে, সতীর্থদের কাছে আমি দুঃখ প্রকাশ করছি। প্লিজ, আমাকে ক্ষমা করে দিন। যদি আজ আমি মাঠে থাকতাম, নিশ্চিতভাবেই ম্যাচটা আমরা জিতে ফিরতাম।”
এই লাল কার্ড ছিল নেইমারের ক্যারিয়ারে ১৬তম এবং সান্তোসের হয়ে পঞ্চম। সর্বশেষ তিনি লাল কার্ড দেখেছিলেন ২০২২ সালে, পিএসজির হয়ে।
তার চুক্তি শেষ হচ্ছে ৩০ জুন। সামনে আন্তর্জাতিক বিরতি এবং ক্লাব বিশ্বকাপ থাকায় এই ম্যাচই হতে পারে সান্তোসের হয়ে নেইমারের শেষ ম্যাচ। শেষটা হলো এক বিতর্ক আর সমালোচনার মধ্য দিয়ে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইতোমধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে বিভিন্ন মিম ও আলোচনা। কেউ লিখছেন, “নেইমার কি ম্যারাডোনার পথেই হাঁটছেন?”, কেউ আবার বলছেন, “সান্তোসে নেইমার অধ্যায়ের কি এমনভাবেই শেষ হবে?”