নেইমার জুনিয়রের পুরো ক্যারিয়ারটাই যেন ইনজুরিতে ভরা। বারবার চোটের কারণে তাকে ছিটকে পড়তে হয়েছে মাঠ থেকে। ঠিক কতবার ইনজুরিতে পড়েছেন, তা নির্দিষ্ট করে বলা না গেলেও সংখ্যা যে কম নয়, তা নিশ্চিতভাবেই বলা যায়।

তবে এই সব ইনজুরির মধ্যেও সবচেয়ে ভয়ংকর চোটটি এসেছিল ২০১৪ সালের বিশ্বকাপে। সে বছরের ৫ জুলাই, কোয়ার্টার ফাইনালে কলম্বিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে কামিলো জুনিগা পেছন থেকে লাফিয়ে নেইমারের কোমরে হাঁটু দিয়ে আঘাত করেন। সেই আঘাতে গুরুতর চোট পান নেইমার, মাঠেই কাঁদতে কাঁদতে পড়ে যান এবং স্ট্রেচারে করে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে। ওই ইনজুরির কারণে এক মাস মাঠের বাইরে ছিলেন ব্রাজিলিয়ান তারকা।

ঠিক ১১ বছর পর, একই দিনে আবারও ফুটবল বিশ্বে দেখা গেল এক ভয়ংকর ইনজুরি দৃশ্য। এবার শিকার হলেন জার্মান মিডফিল্ডার জামাল মুসিয়ালা।
গতকাল ৫ জুলাই (শনিবার), ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে পিএসজির বিপক্ষে খেলতে নেমে গুরুতর চোট পান তিনি। দোন্নারুম্মার সঙ্গে সংঘর্ষে পড়ে তার পায়ের গোড়ালি ভেঙে যায়।
এই ঘটনায় নেইমারের স্মৃতিকে যেন নতুন করে মনে করিয়ে দিল মুসিয়ালার ইনজুরি। কাকতালীয়ভাবে, নেইমার যখন সেই ভয়ংকর চোটে পড়েছিলেন, তখন তার বয়স ছিল ২২ বছর। আর মুসিয়ালাও এই ভয়ংকর ইনজুরির শিকার হলেন ঠিক ২২ বছর বয়সেই।
আরও পড়ুন: ইসরায়েলি হামলায় আরও এক ফিলিস্তিনি ফুটবলারের মৃত্যু
FAQ
১. নেইমারের ক্যারিয়ারের সবচেয়ে ভয়ংকর ইনজুরি কোনটি ছিল?
উত্তর: নেইমারের সবচেয়ে ভয়ংকর ইনজুরি ঘটে ২০১৪ সালের ফিফা বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে, ৫ জুলাই কলম্বিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে। কলম্বিয়ান ফুটবলার কামিলো জুনিগা পেছন থেকে তার কোমরে হাঁটু দিয়ে আঘাত করলে তিনি গুরুতর আহত হন এবং বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে পড়েন।
২. জামাল মুসিয়ালা কবে, কী ধরনের ইনজুরিতে পড়েছেন?
উত্তর: জামাল মুসিয়ালা ইনজুরিতে পড়েন ২০২৫ সালের ৫ জুলাই, ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপে পিএসজির বিপক্ষে ম্যাচে। পিএসজির গোলরক্ষক দোন্নারুম্মার সঙ্গে সংঘর্ষে তার পায়ের গোড়ালি ভেঙে যায়। এটি তার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে গুরুতর ইনজুরি হিসেবে ধরা হচ্ছে।
৩. নেইমার ও মুসিয়ালার ইনজুরির মধ্যে কী মিল আছে?
উত্তর: কাকতালীয়ভাবে, দুজনই তাদের সবচেয়ে ভয়ংকর ইনজুরিতে পড়েছেন ৫ জুলাই, এবং দুইজনের বয়সই ছিল ২২ বছর। এই মিল ফুটবল দুনিয়ায় এক অদ্ভুত ও করুণ সমাপতন হিসেবে দেখা হচ্ছে।