দুই দলের শক্তির পার্থক্য ছিল চোখে পড়ার মতো। ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়ন পিএসজি ছিল স্বভাবতই ফেবারিট, তবে প্রতিপক্ষ ইন্টার মিয়ামিতে লিওনেল মেসির উপস্থিতি ছিল বিশেষ আকর্ষণ। যদিও মাঠের খেলায় একচেটিয়া আধিপত্য ছিল পিএসজির। আক্রমণাত্মক ফুটবলে তারা এমএলএস ক্লাব মিয়ামিকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে শেষ আট নিশ্চিত করেছে।
আটলান্টার মার্সিডিজ বেঞ্জ স্টেডিয়ামে প্রথমার্ধেই চার গোল করে ম্যাচ অনেকটা নিজেদের করে নেয় এনরিকের দল। জোয়াও নেভেস জোড়া গোল করেন, আশরাফ হাকিমি করেন একটি। একটি গোল ছিল আত্মঘাতী, মিয়ামির টমাস এভিলেসের ভুলে।

মেসির সাজানো সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন লুইস সুয়ারেজ। মেসি নিজেও কয়েকবার গোলের জন্য চেষ্টা করেন, কিন্তু পিএসজির রক্ষণ ও দোন্নারুমার বাঁধা অতিক্রম করতে পারেননি।
পিএসজি পুরো ম্যাচে ৬৭% বলের দখল রাখে, নেয় ১৯টি শট, যার ৯টি লক্ষ্যে। মিয়ামি মাত্র ৭টি শট নিয়ে ৩টি লক্ষ্যে রাখতে সক্ষম হয়।
প্রথম গোল আসে ৫ মিনিটেই, নেভেসের হেড থেকে। এরপর রুইজ, হাকিমি ও এভিলেসের আত্মঘাতী গোল মিলিয়ে বিরতির আগেই ৪-০ ব্যবধান হয়। দ্বিতীয়ার্ধে মেসি-সুয়ারেজ চেষ্টা করলেও গোলের দেখা পায়নি মিয়ামি।
এই জয়ের ফলে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে পিএসজি, যেখানে তারা মুখোমুখি হবে বায়ার্ন মিউনিখ অথবা ফ্ল্যামেঙ্গোর সঙ্গে।
Also Read:
FAQ
1. পিএসজির হয়ে গোল করেছেন কারা?
পর্তুগিজ মিডফিল্ডার জোয়াও নেভেস দুইটি গোল করেন, একটি গোল করেন আশরাফ হাকিমি এবং একটি আত্মঘাতী গোল করেন ইন্টার মায়ামির টমাস এভিলেস।
2. লিওনেল মেসির পারফরম্যান্স কেমন ছিল সাবেক ক্লাব পিএসজির বিপক্ষে?
মেসি বেশ কয়েকটি সুযোগ তৈরি করেন, একটি জোরালো হেডও নেন, কিন্তু গোলরক্ষক দোন্নারুমা ও পিএসজির রক্ষণভাগ তার চেষ্টা ব্যর্থ করে দেয়।
3. এই জয়ের পর পিএসজির পরবর্তী প্রতিপক্ষ কে?
পিএসজি ক্লাব বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে। তারা পরবর্তী রাউন্ডে মুখোমুখি হবে বায়ার্ন মিউনিখ অথবা ফ্ল্যামেঙ্গোর বিপক্ষে।