আজ বৃহস্পতিবার, মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে এএফসির সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত ড্র অনুযায়ী বাংলাদেশ ‘জি’ গ্রুপে জায়গা পেয়েছে। এই গ্রুপের আয়োজক দেশ মালয়েশিয়া। অন্য দুই প্রতিপক্ষ হলো ইরান ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। ইরান এশিয়ার সর্বোচ্চ ১৩ বার চ্যাম্পিয়ন হওয়া এবং বর্তমান চ্যাম্পিয়ন দল।
স্ট্যান্ডার্ড ফুটবলের পাশাপাশি ফুটসাল ও বিচ ফুটবলেও অনুষ্ঠিত হয় বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপের মতো বড় আসর। তবে বাংলাদেশ পুরুষ ফুটবল দল এর আগে কখনও আন্তর্জাতিক ফুটসালে অংশ নেয়নি। এবারই প্রথমবারের মতো তারা অংশ নিচ্ছে এএফসি এশিয়ান কাপ ফুটসাল বাছাইপর্বে। আর অভিষেকেই কঠিন চ্যালেঞ্জ বাংলাদেশ পড়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইরানের সঙ্গে একই গ্রুপে।
এই বাছাইপর্বে অংশ নিচ্ছে মোট ৩১টি দেশ। সাতটি গ্রুপে চারটি করে দল এবং একটি গ্রুপে রয়েছে তিনটি দল। আটটি গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন ও সেরা সাতটি রানার্সআপ দল খেলবে মূল পর্বে। বাছাইপর্ব অনুষ্ঠিত হবে ২০ থেকে ২৪ সেপ্টেম্বর। মূল পর্ব অনুষ্ঠিত হবে ২০২৬ সালের ২৭ জানুয়ারি থেকে ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ইন্দোনেশিয়ায়। স্বাগতিক হিসেবে ইন্দোনেশিয়া সরাসরি খেলবে মূল পর্বে।
বাংলাদেশের গ্রুপে ইরান থাকায় তাদের গ্রুপ শীর্ষে ওঠা অনেক কঠিন। তাই এই দলের মূল লক্ষ্য থাকবে মালয়েশিয়া ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে লড়াইয়ে ভালো কিছু করা। বাফুফের ফুটসাল কমিটি ইতোমধ্যে একটি জাতীয় টুর্নামেন্ট আয়োজন করে দল গঠনের পরিকল্পনা করেছে। সেই টুর্নামেন্ট এবং দলের প্রস্তুতি কেমন হয়, এখন সেটিই দেখার বিষয়।
আরও পড়ুনঃ
FAQ
১. এটা কি বাংলাদেশের প্রথম আন্তর্জাতিক ফুটসাল অংশগ্রহণ?
হ্যাঁ, এই প্রথমবারের মতো পুরুষ ফুটবল দল আন্তর্জাতিক ফুটসাল টুর্নামেন্টে অংশ নিচ্ছে। তারা এএফসি ফুটসাল এশিয়ান কাপ বাছাইপর্ব দিয়ে অভিষেক করছে।
২. গ্রুপ পর্বে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ কারা?
প্রতিপক্ষ দলগুলো হলো: আয়োজক মালয়েশিয়া, বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইরান এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই)।
৩. কীভাবে মূল পর্বে কোয়ালিফাই করতে পারে?
বাংলাদেশকে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হতে হবে অথবা সেরা সাতটি রানার্সআপ দলের মধ্যে থাকতে হবে। ইরান শক্ত প্রতিপক্ষ হওয়ায়, মূল লক্ষ্য হবে মালয়েশিয়া ও ইউএই’র বিপক্ষে ভালো পারফরম্যান্স করে পয়েন্ট অর্জন করা।