বাংলাদেশের হয়ে হামজা ও শামিতরা ম্যাচ খেলবেন নেপালের বিপক্ষে

বাংলাদেশের হয়ে হামজা ও শামিতরা ম্যাচ খেলবেন নেপালের বিপক্ষে

সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ম্যাচ শেষে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) জানিয়েছিল, জাতীয় দলের পরবর্তী ম্যাচগুলোর প্রস্তুতির জন্য ইউরোপের কোনো দেশের বিপক্ষে একটি ফিফা প্রীতি ম্যাচ আয়োজনের চেষ্টা চলছে। তবে শেষ পর্যন্ত ইউরোপ নয়, দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিবেশী নেপালের সঙ্গেই ম্যাচ খেলতে যাচ্ছে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল।

বাফুফের একটি বিশ্বস্ত সূত্র সোমবার জানিয়েছে, আগামী ৬ ও ৯ সেপ্টেম্বর এই দুটি প্রীতি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে নেপালের কাঠমান্ডুর দশরথ রঙ্গশালায়।

বাংলাদেশ ইতোমধ্যে এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে দুটি ম্যাচ খেলেছে ভারতের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে ড্র করলেও সিঙ্গাপুরের কাছে হেরে বসে ঘরের মাঠে। এখনো চারটি ম্যাচ বাকি রয়েছে। অক্টোবরে হংকংয়ের বিপক্ষে এবং নভেম্বরে ভারতের বিপক্ষে দুটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ খেলবে জামাল ভূঁইয়ারা। ২০২5 সালে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে আবার মাঠে নামবে দল।

বাফুফে সূত্রে জানা গেছে, মূলত ইউরোপসহ দক্ষিণ এশিয়ার বাইরের একাধিক দেশের সঙ্গে প্রস্তুতি ম্যাচ আয়োজনের চেষ্টা করলেও কোনো দেশের পক্ষ থেকেই ইতিবাচক সাড়া মেলেনি।

সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সের দিকে তাকালে দেখা যায়, বাংলাদেশের পুরুষ ফুটবল দল কঠিন সময় পার করছে। সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে হারের ফলে ২০২৭ সালের সৌদি আরবে অনুষ্ঠেয় এশিয়ান কাপে অংশ নেওয়ার সম্ভাবনা কঠিন হয়ে পড়েছে। এখন বাকি থাকা প্রতিটি ম্যাচেই জিততে হবে, তবেই টিকে থাকবে চূড়ান্ত পর্বে খেলার সুযোগ।

সেপ্টেম্বরে নেপালের বিপক্ষে দুটি ম্যাচে জয়ের লক্ষ্য নিয়েই মাঠে নামবে বাংলাদেশ। কারণ পরবর্তী ম্যাচগুলোতে জয় না এলে, বড় টুর্নামেন্টের স্বপ্ন এইবারও অধরা থেকে যাবে।

আরও পড়ুনঃ ২০১৪ সালে নেইমারের ভয়ংকর ইনজুরির দিনই গোড়ালি ভাঙল মুসিয়ালার

FAQ

১. বাংলাদেশ-নেপালের মধ্যে প্রীতি ম্যাচ কবে অনুষ্ঠিত হবে?

উত্তর:
ফিফা আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে ৬ ও ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, নেপালের কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে।

২. ইউরোপীয় দলের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচ আয়োজনের পরিকল্পনা থেকে সরে আসা হলো কেন?

উত্তর:
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন ইউরোপ ও দক্ষিণ এশিয়ার বাইরের একাধিক দেশের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও ইচ্ছুক কোনো প্রতিপক্ষ পাওয়া যায়নি। শেষ পর্যন্ত নেপালই একমাত্র সম্মত দেশ হওয়ায়, তাদের বিপক্ষে ম্যাচ আয়োজন করা হয়েছে।

৩. এই ম্যাচগুলোর গুরুত্ব কী?

উত্তর:
এই প্রস্তুতি ম্যাচ দুটি বাংলাদেশ দলের জন্য এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের পরবর্তী ম্যাচগুলোর প্রস্তুতির অংশ। বিশেষ করে হংকং ও ভারতের বিপক্ষে কঠিন ম্যাচের আগে দলকে গুছিয়ে নেওয়ার জন্য এ দুটি ম্যাচ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

Leave a Reply